হাঁসের কম খাদ্য গ্রহণ তাদের বৃদ্ধি এবং লাভজনকতার উপর প্রভাব ফেলতে পারে। সঠিক খাদ্য নির্বাচন এবং বৈজ্ঞানিক খাদ্য গ্রহণের পদ্ধতির মাধ্যমে, আপনি আপনার হাঁসের ক্ষুধা এবং ওজন বৃদ্ধি উন্নত করতে পারেন, যা আপনার হাঁস পালন ব্যবসায় আরও ভাল লাভ বয়ে আনবে। হাঁসের কম খাদ্য গ্রহণের সমস্যা বিভিন্ন কারণের কারণে হতে পারে, হাঁস চাষীরা একটি উল্লেখ করতে পারেন:
১. খাদ্যের ধরণ: সঠিক খাদ্য নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণহাঁসের খাবারখাবার গ্রহণ। খাবারের রঙ, চেহারা এবং গুণমান হাঁসের ক্ষুধাকে প্রভাবিত করবে। নিশ্চিত করুন যে খাবারটি দূষিত পদার্থমুক্ত এবং হাঁসের স্বাদ পছন্দ অনুসারে খাবারের গঠন এবং স্বাদ সামঞ্জস্য করুন। এছাড়াও, খাবারে লবণের দ্রবণের উচ্চ ঘনত্ব এড়িয়ে চলুন কারণ হাঁস সাধারণত উচ্চ লবণযুক্ত খাবার খেতে পছন্দ করে না।
২. পেলেটেড ফিড: হাঁসদের পেলেটেড ফিড বেশি পছন্দ, অন্যদিকে সূক্ষ্ম আঠালো ফিড তাদের কাছে কম জনপ্রিয়। পেলেটেড ফিড হাঁসের ক্ষুধা বাড়াতে এবং ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। হাঁসের প্রজননের ক্ষেত্রে, হাঁসের অতিরিক্ত স্থূলতা এড়াতে পূর্ণ মূল্যের ফিড ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়াও, হাঁস বিভিন্ন রঙের ফিড ট্রফ থেকে বেশি খাবার গ্রহণ করে।
৩. খাবারের সময়: হাঁসের খাবারের সময় নিয়মিত থাকে। সাধারণত সকাল ও সন্ধ্যায় হাঁস বেশি খাবার খায়, দুপুরে কম। বিভিন্ন বৃদ্ধির পর্যায়ে থাকা হাঁসের খাওয়ার সময়ও আলাদা। ডিম পাড়ার হাঁস সন্ধ্যায় খেতে পছন্দ করে, অন্যদিকে ডিম পাড়ার হাঁস সকালে বেশি খায়। খাবারের জন্য সকাল ও সন্ধ্যার সময় পূর্ণ ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। কৃত্রিম আলোর প্রয়োজন হলে, আলোর উজ্জ্বলতা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি করা উচিত, যা হাঁসের ক্ষুধা বাড়াতে পারে এবং ওজন বৃদ্ধি এবং ডিম উৎপাদনের জন্য উপকারী।
৪. হাঁসের খাওয়ার ধরণ পরিবর্তন: হাঁসের খাওয়ার অভ্যাসের একটি নির্দিষ্ট নিয়মিততা থাকে। প্রাকৃতিক আলোতে, সাধারণত দিনে তিনটি খাবারের সর্বোচ্চ সময় থাকে, যথা সকাল, দুপুর এবং রাত। সকালে পর্যাপ্ত খাবার সরবরাহ করতে ভুলবেন না, কারণ রাতের পর হাঁসের ক্ষুধা বেশি থাকে, যা তাদের ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। চারণভূমিতে রাখা হাঁসের ক্ষেত্রে, সর্বোচ্চ খাবারের সময় তাদের চরাতে রাখা যেতে পারে। যদি ওষুধের প্রয়োজন হয়, তাহলে এটি খাবারের সাথে মিশিয়ে দেওয়া যেতে পারে।
https://www.incubatoregg.com/ Email: Ivy@ncedward.com
পোস্টের সময়: জানুয়ারী-২৬-২০২৪